মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন ২০২১ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২) তৃতীয় পর্ব

0

West Bengal Madhyamik 2021Physical Science Suggestion for WBBSE Class 10 Exam. 

Madhyamik Physical Science Suggestion
Madhyamik Physical Science 


❒ মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন ২০২১

⬤ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২) 

❒ পর্ব :- তৃতীয়
                                                  
● অধ্যায় সমূহ :- অষ্টম
❍ প্রশ্নের মান - ২

❒ বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২) 
              
              ।। অষ্টম অধ্যায় ।।
     পদার্থের ভৌত ও রাসায়ানিক ধর্ম

1. রাসায়নিক বন্ধন বলতে কী বোঝো ?
Ans. রাসায়নিক বন্ধন : একই বা ভিন্ন মৌলিক পদার্থের দুই বা ততোধিক পরমাণু একটি বিশেষ আকর্ষণ বলে আবদ্ধ হয়ে অণু গঠন করে। এই আকর্ষণ বলকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।

2. তড়িৎযোজ্যতা কাকে বলে ?
Ans. নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণুর মতো সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের চেষ্টায় কোনো পরমাণু তার সবচেয়ে বাইরের কক্ষের ইলেকট্রন অন্য কোনো পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে স্থানান্তরিত করে। পরমাণু দুটি ইলেকট্রন বর্জন ও গ্রহণ করে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নে পরিণত হয় এবং এই বিপরীতধর্মী আয়নগুলি পরস্পর স্থির তড়িদাকর্ষণে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে। এইভাবে ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে যৌগ গঠনের ক্ষমতাকে তড়িৎযোজ্যতা বলে।

3. তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans. তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন : তড়িৎযোজ্যতার সাহায্যে যৌগ গঠনের সময় পরমাণুগুলির মধ্যে যে রাসায়নিক বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে তড়িৎযোজী বন্ধন বা আয়নীয় বন্ধন বলে। যেমন— NaCl অণু গঠনের সময় একটি Na পরমাণু 1টি ইলেকট্রন বর্জন করে এবং একটি C পরমাণু 1 টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে। সুতরাং Na এবং CI উভয়ের যোজ্যতা =1।

4. তড়িৎযোজী যৌগ কাকে বলে ?
Ans. তড়িৎযোজী যৌগ : রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় একাধিক মৌলের পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়নে পরিণত হয়ে স্থিরতড়িৎ আকর্ষণ বল দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাকে তড়িৎযোজী যৌগ বলে।

5. কোন ধরনের মৌল সমযোজী যৌগ গঠন করে ? কয়েকটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও।
Ans. দুটিঅধাতু: যখন রাসায়নিক মিলনে যৌগ গঠন করে তখন সমযোজী যৌগ গঠিত হয়।
সমযোজী যৌগের উদাহরণ : হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCL), কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), মিথেন (CH4), অ্যামোনিয়া (NH3) ইত্যাদি।

6. সমযোজ্যতার পরিমাপ কী ? উদাহরণ দাও।
Ans. সমযোজ্যতার পরিমাপ : কোনো মৌলের পরমাণু যতগুলি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অণু গঠন করে সেই ইলেকট্রন জোড়ের সংখ্যাই হল ওই মৌলের যোজ্যতা। যেমন- দুটি ক্লোরিন পরমাণু পরস্পরের মধ্যে একটি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে ক্লোরিন অণু গঠন করে। সুতরাং, ক্লোরিনের যোজ্যতা =1। আবার, দুটি অক্সিজেন পরমাণু পরস্পরের মধ্যে দুটি ইলেকট্রন জোড় গঠন করে অক্সিজেন অণু গঠন করে, সুতরাং অক্সিজেনের যোজ্যতা =2 ।

7. তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans. তড়ি-অবিশ্রেষ্য পদার্থ : যেসব পদার্থ গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহণে অক্ষম, সেইসব পদার্থকে তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। যেমন চিনি, গ্লুকোজ, পেট্রোল, বেঞ্জিন, বিশুদ্ধ জল ইত্যাদি তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ।

8. অ্যানোড ও ক্যাথোড কাকে বলে ?
Ans. অ্যানোড : যে তড়িদ্দারটি ব্যাটারির পজিটিভ বা ধনাত্মক মেরুর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে অ্যানোড বা ধনাত্মক তড়িদ্দার বলে।
ক্যাথোড : যে তড়িদ্দারটি ব্যাটারির নেগেটিভ বা ঋণাত্মক মেরুর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে ক্যাথোড বা ঋণাত্মক তড়িদ্দার বলে।

9. তড়িদ্দারে আয়নের আধান মুক্ত হওয়ার প্রবণতার সঙ্গে তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণির সম্পর্ক কী?
Ans. কোনো দ্রবণে দুই বা তার বেশি ক্যাটায়ন থাকলে তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণিতে যে ক্যাটায়নটির অবস্থান অপেক্ষাকৃত নীচে, ক্যাথোডে সেটির আয়ন মুক্ত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটে। অনুরূপভাবে কোনো দ্রবণে দুটি অ্যানায়ন থাকলে তড়িৎ-রাসায়নিক শ্রেণিতে যে অ্যানায়নটির স্থান আপেক্ষাকৃত নীচে, সেটি অপরটির আগে অ্যানোডে মুক্ত হয়।

10. তড়িলেপনের উদ্দেশ্য কী ? অথবা, তড়িৎলেপন দেওয়া হয় কেন ?
Ans. তড়িৎলেপনের উদ্দেশ্য:

(i) ধাতব পদার্থগুলিকে বাহ্যিক ক্রিয়া (জল, বায়ু) ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তড়িৎলেপন করা হয়। যেমন- লোহার বস্তুকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লোহার বস্তুর ওপর নিকেল, টিন প্রভৃতি ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়।

(ii) ধাতব পদার্থের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য তড়িলেপন করা হয়। যেমন- পিতলের গয়নার ওপর সোনার প্রলেপ দিয়ে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়।

11. কোনো একটি ধাতু অপেক্ষা তার কোনো ধাতু-সংকর ব্যবহারের সুবিধাগুলি কী কী ?
Ans. কোনো ধাতু অপেক্ষা তার কোনো ধাতু-সংকর সুবিধাগুলি হল- (i) ধাতু-সংকর অপেক্ষাকৃত বেশি শক্ত (কঠিন) হয়। (ii) ধাতু সংকর অপেক্ষাকৃত বেশি নমনীয়, ঘাতসহ হয়। (iii) ধাতু-সংকর অপেক্ষাকৃত বেশি নিস্ক্রিয় ও ক্ষয়রোধী হয়।

12. সব আকরিকই খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়- ব্যাখ্যা করো।
অথবা,খনিজ ও আকরিকের প্রভেদ কী ?

Ans. খনিজ ও আকরিকের প্রভেদ অথবা আকরিক মাত্রই খনিজ কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়, প্রকৃতিতে খনিজ রূপে রেডহেমাটাইট (Fe2O3) ম্যাগনেটাইট (Fe2O4) এবং আয়রন পাইরাইটিস (FeS2), প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু আয়রন পাইরাইটিস থেকে অল্প খরচে এবং সহজ পদ্ধতিতে আয়রন নিস্কাশন করা সম্ভব হয় না। সেজন্য এটি আয়রনের খনিজ কিন্তু আকরিক নয়। আবার রেড হেমাটাইট এবং ম্যাগনেটাইট থেকে আয়রন নিষ্কাশন করা হয়। সেজন্য এরা আয়রনের আকরিক অতএব দেখা যাচ্ছে যে কোনো ধাতুর আকরিক সর্বদাই এটির খনিজ কিন্তু কোনো ধাতুর যে-কোনো খনিজই এটির আকরিক নাও হতে পারে।

13. তড়িৎ বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতু নিষ্কাশনের একটি উদাহরণ দাও।
Ans. অ্যালুমিনিয়াম-এর (Al2O3) সঙ্গে ক্লায়োলাইট (AIF3, 3NaF)এবং ফ্লুওস্পার (CaF2) মিশিয়ে 900°C উয়তায় উত্তপ্ত করলে মিশ্রণটি গলে যায়। এরপর তার সঙ্গে গ্রাফাইট তড়িদ্দারের মাধ্যমে তড়িৎ চালনা করলে ক্যাথোডে অ্যালুমিনিয়াম উৎপন্ন হয়।

14. জৈব যৌগ কাকে বলে ?
Ans. জৈব যৌগ : কার্বনের অক্সাইড, ধাতব কার্বনেট, বাইকাৰ্বনেট, হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং ধাতব সায়ানাইড লবণগুলি ছাড়া কার্বন দ্বারা গঠিত যে যৌগগুলির মধ্যে কার্বন পরমাণুর ক্যাটিনেশন ধর্ম, সমাবয়বতা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, তাদেরকে জৈব যৌগ বলে।

15. অজৈব যৌগ থেকে প্রস্তুত প্রথম জৈব যৌগটির নাম কী ? এটি কোন অজৈব যৌগ থেকে প্রস্তুত হয়েছে ?

Ans. অজৈব যৌগ থেকে প্রস্তুত প্রথম জৈব যৌগটি হল ইউরিয়া। এটি অ্যামোনিয়াম সায়ানেট থেকে প্রস্তুত হয়েছে।

16. হাইড্রোকার্বন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans. কার্বন এবং হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত যৌগকে হাইড্রোকার্বন বলে। মিথেন (CH4), ইথেন (C2H6), ইথিলিন (C2H4), অ্যাসিটিলিন (C2H2) প্রভৃতি যৌগগুলি হল হাইড্রোকার্বন।

17. অ্যালকাইন কাকে বলে ? গঠন সংকেত সহ উদাহরণ দাও।
Ans. ত্রিবন্ধনযুক্ত অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনকে অ্যালকাইন বলে। এদের সাধারণ সংকেত

CnH2n+2, যেখানে n=1,2,3 ইত্যাদি পূর্ণসংখ্যা।
যেমন- H-C ≡C-H (অ্যাটিলিন)।

18. অ্যাসিটিলিন অণুর গঠন লেখো।
Ans. গঠন সংকেত : H-C ≡C-H (অ্যাসিটিলিন)।

19. কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে ?
Ans. যেসব সক্রিয় পরমাণু বা পরমাণুপুঞ্জ জৈব যৌগের গঠনে উপস্থিত থেকে তাদের প্রকৃতি, ধর্ম এবং রাসায়নিক বিশিষ্টতা নির্ধারণ করে তদের কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ বলা হয়।

20. অ্যালকোহল কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans. জৈব যৌগের অণুতে –OH অর্থাৎ হাইড্রক্সিল মূলক থাকলে তাকে অ্যালকোহল বলে। অ্যালকোহলের সাধারণ সংকেত CnH2n+1OH । যেমন- মিথাইল অ্যালকোহল (CH3OH), ইথাইল অ্যালকোহল (C2H5OH), প্রোপাইল অ্যালকোহল (C3H7OH) ইত্যাদি।

21. LPG কাকে বলে ?
Ans. 30°C -এর নীচে পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতন করলে পেট্রোলিয়াম গ্যাস পাওয়া যায়। পেট্রোলিয়াম গ্যাসকে চাপ প্রয়োগে তরলে পরিণত করলে তাকে লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা সংক্ষেপে LPG বলে। এটিকে স্টিলের সিলিন্ডারে সঞ্চয় করে রাখা হয়।

22. প্রাকৃতিক গ্যাস কাকে বলে ? এর উপাদান কী ?
Ans. প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural gas) : পেট্রোলিয়াম খনিতে তেলের সঙ্গে দাহ্য গ্যাস সঞ্চিত থাকে। এই গ্যাস আলাদাভাবে বা তেলের সঙ্গে খনি থেকে তোলা হয়। এই দাহ্য গ্যাসকে প্রাকৃতিক গ্যাস বলে। বর্তমান প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি প্রধান উৎস। উন্নত দেশগুলিতে এর ব্যবহার অপেক্ষাকৃত বেশি।
উপাদান : প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন (CH4), এছাড়া এতে সামান্য ইথেন ও প্রোপেন মিশ্রিত থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাসে প্রায় (45%-96%) মিথেন থাকে।

23. CNG -এর ব্যবহার উল্লেখ করো।
Ans. ব্যবহার: (i)নানা ধরনের শিল্পে, যেমন- লৌহ ইস্পাত শিল্প, সিমেন্ট প্রভৃতিতে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। (ii)ঘর গরম রাখতে, রাস্তাঘাটে বাতি জ্বালাতে, রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। (iii)বিভিন্ন যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে CNG ব্যবহার করা হয়।

24. LPG এবং CNG এর মুখ্য উপাদানগুলির নাম লেখো। যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল এবং CNG এর মধ্যে কোনটি অপেক্ষাকৃত কম বায়ুদূষক ?
Ans. LPG -এর মুখ্য উপাদান : বিউটেন।

CNG এর মুখ্য উপাদান : মিথেন।

25. সরলতম হাইড্রোকার্বনটির নাম লেখো। বায়ুতে এর দহন বিক্রিয়াটির উপযোগিতা উল্লেখ করো।
Ans. সরলতম হাইড্রোকার্বনটি হল মিথেন (CH4)। বায়ুতে মিথেনের দহনের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় তাই এটিকে তাপ উৎপাদক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

26. হাইড্রোজেনের সঙ্গে ইথিলিনের বিক্রিয়া লেখো। অথবা,
ইথিলিনের সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ার শর্তসমূহ সমীকরণ দাও।
Ans. হাইড্রোজেন সংযোজন : সাধারণ উষ্নতায় প্ল্যাটিনাম (Pt) বা প্যালাডিয়াম (Pb) বা র‍্যানি নিকেল অনুঘটকের উপস্থিতিতে বা 250°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত নিকেল চূর্ণের ওপর দিয়ে ইথিলিন এবং হাইড্রোজেনের মিশ্রণ চালনা করলে ইথেন উৎপন্ন হয়। নিকেল অনুঘটকের কাজ করে।

27. ব্রোমিনের সঙ্গে ইথিলিনের বিক্রিয়াটি লেখো। অথবা, কীভাবে পরিবর্তিত করতে ? 

Ans. ব্রোমিনের সঙ্গে ইথিলিনের বিক্রিয়া: কার্বন টেট্রাক্লোরাইড বা ক্লোরোফর্মে ব্রোমিনকে দ্রবীভূত করে ওই লাল বর্ণের ব্রোমিন দ্রবণের মধ্যে দিয়ে ইথিলিন চালনা করলে বর্ণহীন ইথিলিন ড্রাইব্রোমাইড বা 1,2, ডাইব্রোমো ইথেন উৎপন্ন হয়। ফলে ব্রোমিনের লাল বর্ণের দ্রবণটি বর্ণহীন হয়। এই বিক্রিয়া দ্বারা প্রমাণ করা যায় ইথিলিন একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন।

28. ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়া উল্লেখ করো।
Ans. ইথিলিনের পলিমারিজেশন : ইথিলিনকে উচ্চচাপে (1500-200 atm) তরল করে পারক্সাইড, অক্সিজেন বা ক্রোমিয়াম অক্সাইড অনুঘটকের উপস্থিতিতে 150°C-200°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে বহুসংখ্যক ইথিলিন অণু পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পলি ইথিলিন বা পলিথিন নামক সাদা কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হয়।

29. মনোমার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans. মনোমার (Monomer): পলিমারের অংশগুলিকে বা একক অণুগুলিকে মনোমার বলে। যেমন- অনেকগুলি ইথিলিন অণু পরস্পর যুক্ত হয়ে পলি ইথিলিন বা পলিথিন অণু উৎপন্ন করে। সুতরাং ইথিলিন অণুটি পলিথিনের মনোমার।

30. সংশ্লেষিত পলিমার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans. সংশ্লেষিত পলিমার: রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে যে পলিমার তৈরি করা হয় তাদের সংশ্লেষিত পলিমার বলে। যেমন-নাইলন, টেরিলিন, পলিথিন, টেফলন, পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC)ইত্যাদি।

বায়ো পলিমার : বিভিন্ন কার্বোহাইড্রেট (যেমন-র্স্টাচ, শর্করা, সেলুলোজ) প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদিকে বায়োপলিমার বলে।

31. জৈব অভঙ্গুর পলিমার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans. জৈব অভঙ্গুর বা নন-বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার: যেসব পলিমার ছত্রাক ও জীবাণু দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয় না ও মাটিতে মিশে যায় না তাদের জৈব অভঙ্গুর বা নন-বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার বলে। কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সকল সংশ্লেষিত। পলিমারে (যেমন- পলিথিন, টেফলন ইত্যাদি) জৈব অভঙ্গুর পলিমার।

32. ভিনাইল ক্লোরাইডের পলিমারের নাম কী ? পলিমারাটির একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
Ans. ভিনাইল ক্লোরাইডের পলিমার হল পলিভিনালি ক্লোরাইড বা PVC।

PVC-এর ব্যবহার: বর্ষাতি ও গামবুট তৈরি করতে PVC ব্যবহার করা হয়।

33. ইথাইল অ্যালকোহলের ভৌত ধর্মগুলি লেখো।
Ans. ভৌত ধর্ম: (i)ইথাইল অ্যালকোহল বর্ণহীন মিষ্টি গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ। (ii)ইথাইল অ্যালকোহলের ঘনত্ব জলের চেয়ে কম। (iii)ইথাইল অ্যালকোহল জলে অত্যন্ত দ্রাব্য এবং এটির স্কুটনাঙ্ক 78.5°C।

34. 170°c উত্নতায় গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে ইথাইল অ্যালকোহলের বিক্রিয়ায় কী উৎপন্ন হয় ? বিক্রিয়ার সমীকরণ দাও।অথবা, রূপান্তর ঘটাও ।

Ans. 170°C উন্নতায় গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় ইথাইল অ্যালকোহল

থেকে এক অণু জল অপসারিত হয় এবং ইথিলিন উৎপন্ন হয়।

35. মেথিলেটেড স্পিরিটের ব্যবহার উল্লেখ করো।
Ans. মেথিলেটেড স্পিরিটের ব্যবহার:

(i) মেথিলেটেড স্পিরিট স্টোভ, স্পিরিট ল্যাম্প প্রভৃতির জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয়।

(ii) বার্নিশের কাজে এবং রং তৈরি করতে মেথিলেটেড স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।

(iii) বিভিন্ন জৈব পদার্থের দ্রাবক হিসেবে মেথিলেটেড স্পিরিট ব্যবহৃত হয়।

                 ❐ সমাপ্ত ❐


❐ কেন আমাদের সাজেশন গুরুত্বপূর্ণ?

❍ আমদের সাজেশনের বৈশিষ্ট্য ❍

১) ৯০% প্রশ্ন কমন ।
২) অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্নের সংযোজন ।
৩) প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর আলোচনা 
৪) টেস্ট ও ফাইনালের নমুনা প্রশ্নপত্র ।
৫) বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ।
৬) অনলাইন টেস্ট এর সুবিধা।
৭) মক্ টেস্ট এর প্রশ্নপত্র ।
৮) অনুশীলনীর সমাধান ।
৯) প্রতিদিন এর অনুশীলনীর অভ্যাস
১০) "To The Point " এ উত্তর। 

⬤ WBBSE MADHYAMIK SUGGESTION PROBABILITY.

❍ Upto 90% questions will be in Madhyamik exam.
❍ We suggest this suggestion to carry good marks in Madhyamik 2021 history examination.


Contact Us:-

মাধ্যমিক 2021 পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য সমস্ত বিষয়ের সাজেশান্ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন উল্লিখিত নম্বরে ।
 ❐ 7550814404
 shubhadipmvv@gmail.com

        ❐ Thanks for visiting our website. ❐

Post a Comment

0 Comments
close